ব্যবসা-বাণিজ্যে ইসলাম



সমাজে সুস্হভাবে বেঁচে থাকার জন্য জীবিকাির্জনের যেসব মাধ্যম আছে তম্মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বোত্তম পন্হা। বাণিজ্যের মাধ্যমে হালাল জীবিকার্জন  বা বৈধ অর্থ উপার্জনের বিশেষ সুযোগ রয়েছে বিধায় ইসলাম এই পেশাকে উৎসাহিত করেছে।

সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন এবং তাদের মধ্যে সৎগুণাবলী পূর্ণমাত্রায় বিধ্যমান ছিল। ব্যবসা- বাণিজ্য তথা ক্রয়-বিক্রয় নবী-রাসূলদের গুণের অন্তর্ভুক্ত।  পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, "আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা-বাণিজ্য) কে হালাল করেছেন, আর সুদকে করেছেন হারাম"-(সূরা বাক্বরা-০২ঃ২৭৫)।

সৎ, নিষ্ঠবান ও বিশ্বস্ত ব্যবসয়ীরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কাছে খুবই প্রিয় ও পছন্দনীয়। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, "সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সিদ্দীক এবং  শহীদদের সাথে থাকবে"-(তিরমিযী)।

ইসলামে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যারা অবৈধ সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করে তাদের জন্য কঠোর শাস্তির কথা ঘোষিত হয়েছে। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন অসাধু ব্যবসায়ীরা গুনাহগারদের কাতারে উত্থিত হবে"-(তিরমিযী)।

ইসলামে ব্যবসায়িক অসাধুতার বিরুদ্ধে সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে। চোরাকারবারী, মুনাফাখোরী, মজুদদারী, কালোবাজারী, পণ্যে ভেজাল দেওয়া, ওজনে কারচুপি করা, ধোঁকা, প্রতারণা ও ঠকবাজির আশ্রয় নেওয়া, দামে হেরফের করা প্রভৃতি অসাধুতার পথ ইসলামে নিষিদ্ধ।

লেখক, মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুচ্ছালাম বাগেরহাটী। খতীব, সীমান্ত স্কয়ার জামে মসজীদ। সদর দপ্তর, বিজিবি। পিলখানা, ঢাকা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন