হিজরী বর্ষের প্রথম মাস মহররম। মহররম আরবী শব্দ। যার আভিধানিক অর্থই সম্মানিত। বৎসরের সকল দিন থেকে অনন্য একটি দিন হলো মহররমের দশ তারিখ তথা আশুরা। কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলীতে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এই দিনটি এক বীরল গুরুত্ব ও মর্যাদার অধিকারী হয়েছে।
পৃথিবীর শুরু থেকে নিয়ে অদ্যবধি যত বড় বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী সংঘটিত হয়েছে তার অধিকাংশই এই দিনে হয়েছে। যার কারণে ইসলাম ও মুসলিম সমাজে এই দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অত্যাধিক।
সাহাবী হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেনঃ মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেনঃ রমজানের রোযার পর সর্বাধিক ফযীলতপূর্ণ রোযা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোযা।
হযরত আবুহুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত অসামান্য বরকতপূর্ন মহররমের রোযাটি মূলত দশই মহররম তথা আশুরারই রোযা। মহররমের মর্যাদা ও বরকতের উৎসও এই রোযাটিই। স্বয়ং রাসূলে করীম (সাঃ) আলোকিত এই দিনে রোযা রেখেছেন।
হযরত আবু কতাদাহ (রাঃ) এর বর্ণনায় আছে, আশুরার রোযা সম্পর্কে হযরত নবী করীম (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ইরশাদ করেনঃ আশুরার রোযা বিগত বছরের পাপ -তাপগুলো মোচন করে দেয়।
আশুরার সুন্নত রোযো দুটি। রাখার পদ্ধতি হলো মহররমের নয় ও দশ তারিখ কিংবা দশ ও এগার তারিখ। এটাই আশুরার মাসনুন পদ্ধতি।
মূলত আশুরার প্রকৃত ফযীলত ও তাৎপর্য
বিশুদ্ধ হাদীসের আলোকে এতটুকুই।
লেখক ঃ খতীব আব্দুচ্ছালাম বাগেরহাটী, পিলখানা, ঢাকা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন