পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ হওয়ার দলীল। খতীব আব্দুচ্ছালাম বাগেরহাটী, পিলখানা, ঢাকা।

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা এ উম্মতের বৈশিষ্ট্য। মি'রাজের রজনীতে এ পাঁচ ওয়াক্ত নামায আল্লাহ্ তা'আলা উম্মাতে মুহাম্মদীর উপর ফরয করেছেন।- তিরমিযী শরীফ।

আল্লাহ্ তা'আলা হযরত জিবরাঈল (আঃ)-কে নবী করীম (সাঃ) এর নিকট পাঠাইয়া নামাযের ওয়াক্ত, রাকআত ইত্যাদি সম্বন্ধে তাঁকে বাস্তবভাবে অবহিত করান।-তিরমিযি শরীফ।

নামাযের ফরযিয়াত কুরআন, হাদীস, ইজমা এবং কিয়াস দ্বারা প্রমাণিত। নামায ফরয হওয়ার ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছেঃ নিশ্চয়ই নির্ধারিত সময়ে নামায কায়েম করা মু'মিনদের জন্য ফরয।-সূরা নিসা-০৪ঃ১০৩।

সূর্য হেলে পড়ার পর হতে রাতের ঘন অন্ধকার পর্যন্ত নামায কায়েম করবে। আর ফজরের কুরআান পাঠের স্হায়ী নীতি অবলম্বন কর, কেননা, ফজরের কুরআনে উপস্হিত থাকা (এ সময় দিবা-রাত্রির উভয় দল ফেরশতা নামাযে উপস্হিত) হয়।-( সূরা বণী ইসরাইল -১৭ঃ৭৮)।

তাফসীর বিশারদরা উপরোক্ত আয়াতে উল্লেখিত "দুলূক" শব্দ দ্বারা যুহর, আসর ও মাগরিব,'গসাকিল লাইল' শব্দ দ্বারা এশার নামায এবং 'কুরআনাল ফাজর' শব্দের দ্বারা ফজরের নামাযের প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন। হাদীসেও এর প্রতি সমর্থন রয়েছে।এ ছাড়া আরো বহু আয়াতে এ প্রসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে।

এর পূর্ণ তাফসীর ও ব্যাখ্যা রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) কথা ও কাজ দ্বারা ব্যক্ত করেছেন। অতএব এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হওয়া সকলের জন্যই অপরিহার্য।

সূরা ত্বোয়া-হা=২০ঃ১৩০ নম্বর আয়াতে পাঁচওয়াক্ত সালাতের সময় একই আয়াতে উল্লেখ রয়েছে।
সূতরাং এরা যা বলে সে বিষয়েে ধৈর্য-ধারণ করুন এবং আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন রাত্রির কিছু অংশে ও দিবাভাগে, সম্ভবতঃ তাতে আপনি সন্তুষ্ট হবেন।                                     

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন