ইসলাম শিশুর জন্মের পবিত্রতা, কানে আজান, সুন্দর অর্থবহ নাম, আক্বিক্বা, হলক্ব, বেঁচে থাকা থেকে শুরু করে খাওয়া-পরা, শিক্ষা-দীক্ষা, পরিচর্যা, নিরাপত্তার ব্যবস্হা করা, বিনোদনের সুযোগ দেয়া, মৌলিক চাহিদা পূরণ করা, ধর্মীয় শিক্ষা, চরিত্র গঠন, বিয়ে-শাদী প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার জন্য নিশ্চিত করেছে কল্যাণময় মৌলিক অধিকার তার বাবা-মায়ের মাধ্যমে।
সন্তান যেমন আল্লাহর নিয়ামত, তেমনি পরীক্ষার বস্তুও বটে। শিশুকে মানবিক ও চারিত্রিক গুণাবলী সম্পন্ন দ্বীনদার মানুষ হতে আমাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। তবেই হবে সমাজ থেকে অন্যায়, অত্যাচার, অপরাধ, বিশৃঙ্খলা দূরীভূত হয়ে ফুটে উঠবে একটি ঝকঝকে উজ্জ্বল পৃথিবী।
স্নেহ ও ভালোবাসা এবং আহার-পোশাকের সমতা, নৈতিক চরিত্র গঠন এবং ধর্মীয় প্রশিক্ষণ, হালাল আয় থেকে প্রতিপালন। শিক্ষা, সাস্হ্য, পুষ্টি, আশ্রয়, প্রতিপালন মাতা-পিতার উপর শিশুর অধিকা।
শিশুরা চঞ্চলমতি, কৌতুহলী এবং অনুকরণ প্রিয় তাই তাদেরকে আমলে সালেহ বা সৎকর্মযেমন- সত্য কথা বলা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, পরোপকার, শিষ্টাচার, পারিবারিক কাজে সহযোগিতা করা, জামাআতে নামাজ আদায় করার অনুশীলন করানো পিতা-মাতার উপর একান্ত প্রয়োজন।
শিশুর মন ভিডিও -এর ন্যায়, যা কিছু তার সামনে বলা হবে বা করা হবে তার একটা ছিন শিশুর মনে অংকিত হয়ে যাবে। নবী করীম (সা) বলেন- নিজের সন্তান-সন্তুতিদের সাথে ভালো ব্যবহার করো এবং তাদেরকে আদব-কায়দা শেখাও। -ইবনে মাজাহ।
আল্লাহ তা'আলা বলেন- জেনে রেখো- তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান- সন্তুতি তোমাদের জন্য এক পরীক্ষা (অকল্যাণের সম্মুখীনকারী) এবং আল্লাহ তা'আলার নিকট রয়েছে মহা পুরস্কার (সওয়াব)। - সূরা আনফাল-০৮ঃ২৮।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন