ইসলাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা তথা পবিত্রতা অর্জনের উপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। দাঁতের সাথে মনো-দৈহিক স্বাস্থ্যেরসম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। তাই দাঁতের পরিচর্যা ও পরিচ্ছন্নতার উপর ইসলাম যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়।
মহানবী (সাঃ) বলেন, "তোমাদের মুখমণ্ডল পরিষ্কার রাখো।" মুখমন্ডল বলতে দাঁত, মাঢ়ি, জিহ্বা, গলা এগুলোকেই একত্রে বুঝায়। আধুনিক ডেন্টিস্টগণ দন্ত পরিচর্যার ক্ষেত্রে উক্ত অঙ্গগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেন।
শেষ জীবন পর্যন্ত মহানবী (সাঃ)-এর দাঁত শক্ত-মজবুত, নিরাপদ ও মুক্তার মত ছিল। পাশ্চাত্য মনীষী Stanley Lane-Poole --The Speeches and Table talk of Mohammad; গ্রন্থে মহানবী (সাঃ)-এর দন্ত মোবারকের প্রশংসা করতে গিয়ে লিখেন "His teeth. upon which he bestowed great Care, were well set. dazzling white."
মহানবী (সাঃ)- এর যুগে আজকের টুথব্রাশ এবং টুথপেষ্টের আবিস্কার হয়নি। নির্দিষ্ট কিছু গাছের ডাল বা শিকড় দিয়ে তৈরী মেসওয়াক ব্যবহার করা হতো মহানবী (সাঃ) দাঁত পরিচর্যার চির আধুনিক যে পদ্ধতি আমদের শিখিয়ে গেছেন- এখন পর্যন্তও সেই পন্থাই অতি উত্তম, কম ব্যয়বহুল ও সবচেয়ে' নিরাপদ।
বার বার ব্যবহারেও একটি মেসওয়াকে কখনও জীবাণু জন্মাতে পারে না। কারণ, প্রতিনিয়তই মিসওয়াক ক্ষয় হতে থাকে। মেসওয়াকের আঁশ বা ফাইভারগুলো নরম এবং প্রাকৃতিক বিধায় মাঢ়ি; তালু বা জিহবায় কোন ইনফেকশানের সৃষ্টি করতে পারে না।
দাঁতের পরিচর্যা না করলে দাঁত সংক্রান্ত জটিলতার উদ্ভব হতে পারে। যেমন- দন্তক্ষয় বা ডেন্টাল কেরিজ, মাঢ়ি সংক্রান্ত রোগ বা পেরিও ডেন্টাল ডিজিজ, দাঁতের অতি সংবেদনশীলতা বা হাইপার সেনসিটিভিটি, দাঁতের দাগ, মুখের ঘা বা ওরাল আলসার এবং ক্যানসার।
আমরা দাঁতের যত্নে অত্যন্ত অমনোযোগী। এমনই অমনোযোগী যে, প্রবাদ বাক্য তৈরী করে ফেলেছি "দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দিতে জানি না।"
আমরা যদি ইসলামের পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা বিষয়ক অনুশাসনগুলো পুরোপুরি মেনে চলি। তাহলে দীর্ঘ সুখীজীবন যাপন করতে পারি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন