মাতৃভাষায় জুমার খুতবা দেওয়া কি জায়েয?
বর্তমান সময়ে আহলে হাদিস ভাইয়েরা জুমার খুতবা কে ওয়াজ-নসিহত মনে করে আরবী খুতবার পরিবর্তে মাতৃভাষায় খুতবা দেওয়ার কথা প্রচার করে থাকেন।এতে করে অনেকে বিভ্রান্ত হয় এব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারনা না থাকার কারণে। এই জন্য আমাদের সকলের কাছে এ বিষয়টি পরিস্কার হওয়া প্রয়োজন যে,আসলে জুমার এ খুতবাটি নিছক বক্তৃতা, না জিকিরের অন্তর্ভূক্ত?
রাসুল সা.এর যুগ থেকে এ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আরবি ভাষায় খুতবা প্রদানের নিয়ম চলে আসছে। উপরন্তু খুতবা শুধু নসিহত নয় বরং তা ইবাদতও বটে। তাই ইবাদত নবীজি (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরামের অনুসরণে আদায় করা একান্ত অপরিহার্য হওয়ায় সমস্ত ফিকাহবিদ আরবি ভাষায় খুতবা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন এবং অন্য যেকোনো ভাষায় খুতবা প্রদান থেকে নিষেধ করেছেন। (উমদাতুর রিআয়াহ : ১/২০০)
তাই শরীয়তের বিধান মতে আরবী ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় খুতবা প্রদান করা বিদআত ও মাকরূহে তাহরীমি এবং তা নাজায়েয। কারণ তা রাসূলুল্লাহ (সা.), সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবেতাবেঈন এবং গোটা মুসলিম উম্মাহর সর্বযুগে সর্বসম্মত আমলের পরিপন্থী।
রাসুল সা.ইরশাদ করেছেন,
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ»
হযরত আয়শা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের ধর্মে নেই এমন বিষয় ধর্মীয় বিষয় বলে আবিস্কার করে তা পরিত্যাজ্য। (সহীহ মুসলিম-১৭১৮, বুখারী-২৬৯৭)
ইসলামী শরীয়তে সালাত শব্দের ন্যায় খুতবাও একটি পারিভাষিক শব্দ। শরীয়তের পরিভাষায় এর স্বতন্ত্র পরিচয় রয়েছে। শুধু আভিধানিক অর্থের মাধ্যমে এর পরিচয় লাভ করা সম্ভব নয়। এটা শুধু খুতবাতে নয়; বরং ইসলামী পরিভাষায় ব্যবহৃত সকল শব্দের ক্ষেত্রে একই নিয়ম। যেমন- সালাত, যাকাত, সাওম ইত্যাদি।
সালাত শব্দের আভিধানিক অর্থ দুআ। যদি কোন ব্যক্তি পুরো দিনও দুআয় মগ্ন থাকে, তাহলে কেউ তাকে বলবে না যে, সে সালাত আদায় করছে; বরং শরীয়ত সালাত আদায়ের যে পদ্ধতি বাতলে দিয়েছে তা অবলম্বনেই একমাত্র সালাত আদায় সম্ভব।
যাকাতের আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা। শুধু পবিত্রতার মাধ্যমে যাকাত আদায়ের দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। কেননা, আভিধানিক অর্থের বাহিরে এসব শব্দের নিজস্ব পারিভাষিক অর্থ ও পরিচয় আছে।
শরীয়তের পরিভাষায় এসব শব্দ বিশেষ কিছু ইবাদতকেই বুঝায়। যা তার নির্ধারিত নিয়ম কানুনের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়।
এমনিভাবে খুতবার আভিধানিক অর্থ বক্তৃতা। কিন্তু এর মাধ্যমে খুতবার বাস্তবতা ও পরিচয় পাওয়া যায় না। শরীয়তের দৃষ্টিতে খুতবা সম্পাদিত হওয়ার জন্য শরীয়তের পক্ষ থেকে কিছু নিয়ম-কানুনের অনুসরণ করা অপরিহার্য। এসব নিয়ম-কানুন ও বৈশিষ্টাবলীর প্রতি লক্ষ্য করলে খুতবার শরয়ী তাৎপর্য স্পষ্ট হয়।
উপমহাদেশের বিখ্যাত ফকীহ ও মুহাদ্দিস শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবী রহ. তাঁর রচিত মুয়াত্তায়ে মালেকের ব্যাখ্যাগ্রন্থ মুসাফফায় উল্লেখ করেন,
لما لا حظنا خطبة النبى صلى الله عليه وسلم وخلفائه رضى الله عنهم وهلم جرا فنجد فيها وجوذ اشياء، منها الحمد والشهادتان والصلاة على النبى صلى الله عليه وسلم والامر بالتقوى وتلاوة آية والدعاء للسملمين والمسلمات وكون الخطبة عربية
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সা.খুলাফায়ে রাশেদীন, তাবেঈন, তাবেতাবেঈন এবং পরবর্তী যুগের ফুকাহায়ে কেরাম ও উলামায়ে দ্বীনের খুতবাসমূহ লক্ষ করলে দেখা যায় যে তাঁদের খুতবায় নিম্নের বিষয়গুলো ছিল। যথা : আল্লাহ তাআলার হামদ , শাহাদাতাইন (অর্থাৎ তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান করা) রাসূল সা. এর প্রতি দরূদ, তাকওয়ার আদেশ, পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত, মুসলমানদের জন্য দুআ। তাঁরা সকলেই আরবী ভাষায় খুতবা দিতেন। গোটা মুসলিম বিশ্বের বহু অঞ্চলের ভাষা আরবী নয়, তবুও সর্বত্র আরবী ভাষায়ই খুতবা দেওয়া হতো। (মুসাফফা, ১/১৫৪)
ইমাম আবু হানিফা রহ.এর প্রথমে অনারবী ভাষায় নামাজ শুরু (তাকবীরে তাহরীমাহ বলা)এবং ফারসিতে কেরাত পাঠ করা অনুমতি দিয়েছিলেন এবং সেই অনুমতি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মাকরূহে তাহরীমির সাথে জায়েয। ফাতাওয়ায়ে শামী, ২/১৮৩
কিন্তু পরবর্তীতে ইমাম আবু হানিফা রহ. সাহেবাইন (ইমাম মুহাম্মাদ ও আবু ইউসুফ) এর মতের দিকে রুজু করেছিলেন। সুতারাং গ্রহনযোগ্য ভাষ্যমতে এখন আরবী ছাড়া ভিন্ন ভাষায় কেরাত এবং জুমআর খুতবাহ কোনোটাই জায়েয নয়। দুররে মুখতার ২/১৮২
সাহাবীগণ বিভিন্ন অনারব দেশ জয় করেন এবং সেখানে গমন করেন, কিন্তু কোনো সাহাবী অনারবী ভাষায় খুতবা দিয়েছেন বলে প্রমাণিত নয়। তাই খুতবা আরবীতে দেওয়াই মাসনুন।
وصح شروعہ أیضا مع کراہة التحریم بتسبیح وتہلیل ․․․ کما صح لو شرع بغیر عربیة․․․ وشرطا عجزہ، وعلی ہذا الخلاف الخطبة وجمیع أذکار الصلاة، وأما ما ذکرہ بقولہ أو آمن أو لبی أو سلم أو سمی عند ذبح أو شہد عند حاکم أو رد سلاما ولم أر لو شمت عاطسا أو قرأ بہا عاجزا فجائز إجماعا، قید القراء ة بالعجز لأن الأصح رجوعہ إلی قولہما وعلیہ الفتوی․ (درمختار زکریا: ۲/ ۱۸۲تا ۱۸۴)
অনেকে মনে করে খুতবা মানে শুধু বক্তৃতা,এটি একটি মুর্খতাসুলভ ধারণা। কুরআন ও হাদীসে জুমআর খুতবাকে শুধু বক্তৃতা সাব্যস্ত করা হয়নি। বরং কুরআন-হাদিসে খুতবাকে জিকির বলা হয়েছে।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ [٦٢:٩]
মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। ( সুরা জুমা আয়াত ৯ )
এই আয়াতের মধ্যকার যিকরুল্লাহ দ্বারা প্রায় সকল মুফাসসিরদের মতে খুতবা উদ্দেশ্য । (তাফসিরে রাযি ১/৪৪৬, তাফসিরে রুহুল মাআনি ২৮/১০২, তাফসিরে ইবনে আব্বাস রা) হাদিসেও খুতবাকে যিকির হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ।
فإذا خرج الإمام حضرت الملائكة يستمعون الذكر
যখন ইমাম খুতবা দিতে বের হন তখন ফেরেশতারা এসে যিকির শুনে অর্থাৎ খুতবা শোনে । (বুখারি ১/৩০১,মুসলিম হাদিস নং ৮০৫)
সুতরাং কুরআন তিলাওয়াত ও জিকির যেমন অন্য ভাষায় দেয়া হয় না। তেমনি খুতবাও অন্য ভাষায় দেয়ার বিধান নেই।
তাছাড়া হাদীসে জুমার খুতবাকে দুই রাকাত নামজের স্থলাভিসিক্ত করা হয়েছে।
হযরত ওমর রা.থেকে বর্ণিত
حَدِيثُ عُمَرَ وَغَيْرِهِ أَنَّهُمْ قَالُوا إنَّمَا قَصُرَتْ الصَّلَاةُ لِأَجْلِ الْخُطْبَةِ
জুমার নামাজ কে খুতবার জন্য ছোট করে দেওয়া হয়েছে। (ইবনে হাজার আসকালানি তালখিসুল হাবির ২/১৭৬)
كَانَتِ الْجُمُعَةُ أَرْبَعًا فَجُعِلَتِ الْخُطْبَةُ مَكَانَ الرَّكْعَتَيْنِ
জুমার নামাজ চার রাকাত ছিল অতঃপর খুতবাকে দুই রাকাতের স্থলাভিসিক্ত করা হয়েছে। (বাইহাকি ৫২৫৮)
তাই ইসলামী শরীয়তে শুধু নিছক বক্তৃতার নাম খুতবা নয়। এটি নামাযের মতই গুরুত্বপূর্ণ ও দুই রাকাতের স্থলাভিসিক্ত। তাই নামাযে যেমন আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় পড়া যায় না, তেমনি খুতবাও অন্য ভাষায় পড়া যাবে না।
আল্লামা শামী র. বলেন-
وكفت تحميدة أو تهليلة أو تسبيحة ) للخطبة المفروضة مع الكراهة وقالا لا بد من ذكر طويل وأقله قدر التشهد الواجب. (الدر المختار : ৩/২০)
অর্থ: ইমাম আবু হানিফা র.-এর মতে শুধু আলহামদু লিল্লাহ বা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বা সুবাহানাল্লাহ বলার দ্বারাই খুতবার ফরযিয়্যাত আদায় হয়ে যাবে। তবে এটা মাকরূহ। আর ইমাম আবু ইউসুফ র. ও ইমাম মুহাম্মদ র. বলেন, খুতবা তাশাহহুদ পরিমাণ দীর্ঘ হওয়া জরুরী।
উসুলে ফিকাহ্-এর আলোকে :-
উসুল ফিকাহ্-এর মূলনীতির আলোকে আরবি ভাষায় খুতবা অকাট্য ও অলঙ্ঘনীয় সুন্নত। কেনান মহানবী (সা.) খোলাফায়ে রাশেদীন, অন্যান্য সাহাবা, তাবেঈন- তবে তাবেঈন সকল মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফুকাহায়ে কিরাম র. ধারাবাহিকভাবে আরবী ভাষাতেই খুতবা দিয়ে আসছেন। কাজেই আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুতবা দেয়া শরীয়ত পরিপন্থী ও বিদআত বলে বিবেচিত হবে। (আহসানুল ফাতওয়া: ৪/১৫৪)
আমরা ইতিহাসের দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখতে পাবো যে , সাহাবা, তাবেঈন এবং অপরাপর ইসলামের সিপাহশালার ও শাসকগণ অনেক অনারব রাষ্ট্র জয় করেছিলেন, অনারব দেশসমূহে শ্রোতাদের প্রয়োজন কোথাও অনারবি ভাষায় খুতবা দান করেছিলেন বলে কোনো প্রমাণ নেই।
প্রসিদ্ধ ফিকহী চার মাযহাবের মতেই জুমআর খুতবা আরবীতে দেয়া আবশ্যক।
১.মালেকী মাযহাব
মালেকী মাযহাবে জুমআ সহীহ হওয়ার জন্য সর্বাবস্থায় উভয় খুতবা আরবী ভাষায় দেয়া শর্ত। যদি উপস্থিত লোকদের মধ্যে কেউ আরবীতে খুতবা দিতে সক্ষম না হয়, তাহলে তারা অন্যান্য দিনের ন্যায় জুমআর দিনও যোহর নামায পড়বে। জুমআ পড়বে না।
মাওসুআতুল ফিকহিয়্যা গ্রন্থে রয়েছে-
ذَهَبَ الْمَالِكِيَّةُ : إِلَى أَنَّهُ لاَ بُدَّ أَنْ تَكُونَ الْخُطْبَةُ بِاللُّغَةِ الْعَرَبِيَّةِ ، فَوُقُوعُهَا بِغَيْرِ الْعَرَبِيَّةِ لَغْوٌ ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي الْجَمَاعَةِ مَنْ يَعْرِفُ الْعَرَبِيَّةَ وَالْخَطِيبُ يَعْرِفُهَا وَجَبَتْ ، فَإِنْ لَمْ يَعْرِفِ الْخَطِيبُ الْعَرَبِيَّةَ لَمْ تَجِبْ ، وَلاَ بُدَّ أَنْ تَكُونَ جَهْرًا فَإِسْرَارُهَا كَعَدِمِهَا وَتُعَادُ جَهْرًا ، وَلاَ بُدَّ أَنْ تَكُونَ لَهَا بَالٌ. (الموسوعة الفقهية الكويت: ১৯/১৮০) وكذا في (كتاب الفقه علي المذاهب الاربعة: ১/৩৬৯)
২.শাফেয়ী মাযহাব
নামাযে তাকবীরে তাহরীমার ন্যায় আরবী ভাষায় খুতবা দেয়াও শর্ত। পূর্বসূরী এবং উত্তরসূরীদের অনুসরণার্থে। তাছাড়া এটি একটি ফরজ জিকির,তাই তাতেও আরবী শর্ত তাকবীরে তাহরীমার ন্যায়।
নিহায়াতুল মুহতাজ গ্রন্থে আছে-
ويشترط كونها اي الخطبة عربية لاتباع السلف والخلف ولانها ذكر مفروض فاشترط فيه ذلك كتكبيرة الاحرام. (نهاية المحتاج الي شرح المنهاج: ২/৩০৪، كتاب الفقه علي مذاهب الاربعة: ১/৩৬৯)
৩.হাম্বলী মাযহাব
হাম্বলী মাযহাবে আরবী ভাষায় খুতবা দিতে সক্ষম হলে অনারবীতে খুতবা দেয়ার অনুমতি নেই। যেমন, নামাযে অনারবীতে কেরাত পড়ার অনুমতি নেই। তবে উপস্থিত মুসল্লিদের কেউ যদি আরবী ভাষায় খুতবা দিতে সক্ষম না হয়, তাহলে অন্য ভাষায় খুতবা দিলে সহীহ হয়ে যাবে।
কিতাবুল-ফিকহী আলা মাযাহিবিল আরবাআ গ্রন্থে এসেছে
الحنابلة قالوا : لا تصح الخطبة بغير العربية ان كانوا قادرا عليها فان عجز عن الاتيان بها اتي بغيرها مما يحسنه. (كتاب الفقه علي مذاهب الاربعة: ১/৩৬৯)
ولا تصح الخطبة بغير العربية مع القدرة عليها بالعربية. (كشف القناع عن متن الاقناع: ২/৩৬، كباب الفروع: ২/১১৩)
৪.হানাফী মাযহাব
হানাফী মাযহাব মতে আরবী ভাষায় খুতবা দিতে সক্ষম হলে অনারবী ভাষায় খুতবা দেওয়া মাকরুহে তাহরীমী ও না জায়েয।
وصح شروعه مع كراهة التحريم بتسبيح وتهليل وتحميد كما صح لوشرع بغير عربية. الدر المختار: ২/১৮২-১৮৩)
وعلي هذا الخلاف الخطبة وجميع اذكار الصلوة. (الدر المختار: ২/১৮৩، البحر الرائق: ১/৫৩৫)
ماذكر في التحفة والذخيرة والنهاية من ان الاصح انه يكره الافتتاح بغير الله اكبر عند ابي حنيفة (رح) فالمراد به الكراهة التحريم. (البحر الرائق: ১/৫৩৪، وفيه ايضا: وقالا لايجوز الا عند العجز وبه قالت الثلاثة. (البحر الرائق: ১/৫৩৫) وكذا (حاشية ابن عابدين: ২/১৮২، المبسوط للسرخسي: ১/১৩৬، الهداية: في هامشه: ১/১০১، حاشيةالطحطاوي: ص২৮০، المحيط البرهاني: ২৩৩، تاتار خانية: ২/৫২، عمدة الرعاية: ১/২০০، كفاية المفتي: ৩/২১৭، فتاوي محمودية: ১২/৩৬৮)
আর গোটা ইসলামের সোনালী যুগ থেকে সর্বাদা আরবি ভাষায় খুতবা দান করা হতো বিধায় এটি সুন্নাতে নববী, সুন্নাতে খোলাফায়ে রাশেদীন, সুন্নতে আইম্যায়ে মুজতাহেদীন , সুন্নাতে মুতাওয়াতেরা (নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিক সুন্নাত) ও সুন্নাতে মুতাওয়ারেছাহ (বা যুগপরম্পরা সুন্নাত)। সূতরাং এর বিপরীত চিন্তাভাবনা হবে বেদআত।
C
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন