মানুষের প্রতি আল্লাহ তা'আলার ভালবাসা


আল্লাহ তাআলার শ্রেষ্ঠ ও প্রিয় সৃষ্টি হলো মানুষ। আর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা বেশি থাকাই স্বাভাবিক। সাধারণত যে জিনিস বেশি দরদ দিয়ে তৈরি হয়, সে জিনিসের প্রতি ভালবাসাও বেশি থাকে।


আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি মানুষের প্রতি স্নেহশীল ও দয়াময়।’ আল্লাহর এ স্নেহ বা দয়ার পরিমাণ নির্ধারণ করা বা প্রকাশ করে দেখানো মানুষের দ্বারা অসম্ভব।


আল্লাহ তা'আলা যে আমাদেরকে ভালবাসেন, তা তিনি কিভাবে প্রকাশ করেন? প্রশ্নটির সোজা উত্তরে আমরা এভাবে বলতে পারি। এটা কি আল্লাহ তা'আলার ভালবাসা নয় যে তিনি মানুষকে সৃষ্টির মধ্যে সেরা পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন? তিনি মানুষকে তাঁর নায়েব বা খলিফা হিসেবে মনোনীত করেছেন? তিনি মানুষকে নিজের ইচ্ছামত কর্ম সম্পাদন করার অনুমতি দিয়েছেন? 
এটা কি তাঁর ভালবাসা নয়? 


অবশ্য, মানুষ ভুল পথে  গিয়ে নিজের ধ্বংস ডেকে আনতে পারে, তাই আল্লাহ তা'আলা তাকে বাঁচাবার জন্য সব রকম উপদেশও দিয়েছেন। এই উদ্দেশ্য তিনি এক লক্ষেরও বেশী নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন। এটাই তো তাঁর ভালবাসা। 



তিনি মানুষকে ভাল আর খারাপের, ঠিক আর ভুলের, জ্ঞান দান করলেন। তবু্ও মানুষ ভুল করতে পারে, কিন্তু সে যদি অনুতপ্ত হয় আর ক্ষমা চায়,  আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। এটাই তাঁর ভালবাসা। 


আল্লাহ তা'আলা মানুষকে এক বিশাল দায়িত্ব দিয়েছেন, কিন্তু তিনি তার আসল যোগ্যতা সম্পর্কে অবহিত আছেন। তাই মানুষ যখন তার দুর্বলতা আর ব্যর্থতাকে বুঝতে পেরে আল্লাহ তা'আলার আশ্রয় চায়, আল্লাহ তার এই মনোভাবকে পছন্দ করেন। তিনি সদাসর্বদা তাকে কাছে টেনে নেন। এটা কি তাঁর ভালবাসা নয়? 



মুসলিম উম্মাহর উচিত আল্লাহ তাআলার ভালবাসা ও স্নেহ-মমতা লাভ করতে তাঁর নাজিলকৃত সব বিধি-বিধান যথাযথ পালন করা। তাঁর অবাধ্য না হওয়া। ইসলামের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করা।



আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে  তাঁর স্নেহ ও মায়া-মমতার উপলব্ধি করে তাঁর অনুগ্রহের শুকরিয়া আদায় করে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক সঠিক জীবন-যাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

লেখকঃ খতীব আব্দুচ্ছালাম বাগেরহাটী, পিলখানা, ঢাকা। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন