"মহানবী মানব জাতির সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।" পাশ্চাত্য ঐতিহাসিক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী মাইকেল এইচ হার্ট এর সাড়া জাগানো সমীক্ষা পুস্তক 'দি হান্ড্রেড' বা এক শতক। তিনি তাঁর গ্রন্হে বিশ্বের বুকে যে শতজন মহাপুরুষ বা মনীষী সবচাইতে বেশী প্রভাব বিস্তার করে গেছেন, তাঁদের নাম ক্রম-অনুসারে সাজিয়ে দিয়েছেন।
বইটি আমেরিকা থেকে প্রকাশিত। তিনি তার গ্রন্হে বলেন যে, এযাবৎ জন্মগ্রহণকারী অযুত কোটি মানব সন্তানের উপর মহানবী হজরত মুহাম্মদের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রভাবই সর্বাধিক। ঐতিহাসিক গবেষক এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানী মাইকেল এইচ হার্ট হজরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সকলের শীর্ষে স্হান দিয়েছেন।
মিঃ এইচ. এম. হাইডম্যানঃ
তিনি তাঁর 'দি এয়োকেনিং অব এশিয়া' গ্রন্থের ৯ এর পাতায় মহানবীর (সাঃ) অজস্র প্রশংসা করে লিখেছেনঃ "তিনি ছিলেন জগতের আশীর্বাদ, প্রেরিত সকল নবী ও পয়গাম্বরদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। তিনি এই পৃথিবীকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সুসভ্য নীতিবোধ, সাহসিকতা এবং উপাসনার সুন্দর পথ প্রদর্শন করে গেছেন। তাঁর নির্ধারিত পথ যে সব সময়ের জন্য উন্নতমানের, তা আজকের দিনেও প্রমাণিত।"
মরিস গডফ্রেঃ
তাঁর "লেস ইনস্টিটিউটস মুসলমান" বা "দি মুসলিম ইন্সটিটিউটস (লন্ডন ১৯৫০)" গ্রন্থের শুরুতেই লিখেছেনঃ "যারা কোরআনে বর্ণিত ধর্মকে গ্রহণ করেছেন সে সব ব্যক্তিরা বা মুসলিম বিশ্বের সকল লেকদের কাছে এই এই ধর্মটি একটি সাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। ইসলাম এখনো মানবজাতির এক বিরাট অংশের কাজে পালিত হচ্ছে এবং হবেও।"
তাঁর "লেস ইনস্টিটিউটস মুসলমান" বা "দি মুসলিম ইন্সটিটিউটস (লন্ডন ১৯৫০)" গ্রন্থের শুরুতেই লিখেছেনঃ "যারা কোরআনে বর্ণিত ধর্মকে গ্রহণ করেছেন সে সব ব্যক্তিরা বা মুসলিম বিশ্বের সকল লেকদের কাছে এই এই ধর্মটি একটি সাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। ইসলাম এখনো মানবজাতির এক বিরাট অংশের কাজে পালিত হচ্ছে এবং হবেও।"
বইটির ১৭ পাতায় তিনি লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ (সাঃ) একজন রাষ্ট্রনেতা, বিচারক, আইন প্রণেতা, সামরিক বাহিনী প্রধানের দায়িত্ব একই সাথে পালন করে গেছেন এবং এই কারণেই তিনি কাবাগৃহ বা মদীনায় যে কোন অবস্থায় যে কোন কারণেই দাড়াতে পারতেন। স্বর্গীয় নির্দেশ লাভ করে যে কোন সময়ে যে কোন সমস্যার সমাধান করতে পারতেন। তিনি মুসলিম সমাজকে সংগঠিত করার একটি প্রক্রিয়াও উদ্ভাবন করতে পেরেছেন।
ডঃ গীবনঃ
বিখ্যাত ইংরেজ ঐতিহাসিক ডঃ গীবন 'রোমান সাম্রাজ্যের পতন' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেনঃ "বস্তুত পক্ষে হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আনীত শরীয়ত সর্ব লোকের জন্য প্রযোজ্য। এই শরীয়ত বুদ্ধিবৃত্তিক মুলনীতি ও এ ধরণের আইনগত ভিত্তিতে রচিত যে, সমগ্র বিশ্বে এর দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না।"
ডঃ গেসটালীঃ
'তিনি আরব সভ্যতা' গ্রন্হে স্পষ্ট ভাষায় বলেনঃ "ইসলামের সেই উম্মী নবীর ইতিবৃত্ত বড় আশ্চর্যজনক। তৎকালের কোন বৃহৎ শক্তি যে জাতিকে নিজের আওতায় আনতে পারেনি, সেই উচ্ছৃঙ্খল জাতিকে তিনি এক আওয়াজে বশীভূত করেন। অতঃপর সেই জাতিকে এমন স্তরে নিয়ে যান, যার দ্বারা পরাশক্তিগুলো তছনছ হয়ে যায়। বর্তমান কালেও সেই উম্মী নবী কবরে অবস্থান করে লক্ষ লক্ষ খোদার বান্দাদেরকে ইসলামের কলেমার উপর অটল রেখেছেন।"
ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস বর্তমানে মতামত দিয়েছেন যে, মুসলমানদের নবী-রাসূলের অবমাননাকে "বাকস্বাধীনতা" বলা যাবেনা। এটা বাক স্বাধীনতার সীমার বাইরে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন