পবিত্র কুরআনে এমন একটি মাত্র আয়াতও নেই যা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টকোণ থেকে আক্রমণযোগ্য। কেননা বিজ্ঞান ও ধর্মের মধ্যে সত্যিকার অর্থে কোন বিরোধ নেই।
এখানে সংক্ষিপ্তভাবে সূরা আল্ ফালাক্ব এর ১নং আয়াতের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পেশ করছি - ক্বুল্ আ'ঊযু বিরব্বিল্ ফালাক্ব। বল, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি ঊষার স্রষ্টার।
'ফালাক্ব' শব্দের অর্থ ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করা বা বিদীর্ণ হওয়া। আর ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যা আমাদের চারিদিকে প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে। এর অসংখ্য উদাহরণ উদ্ধৃৃত করা যেতে পারে।
যেমন, উদ্ভিদ রাজ্যে বীজের খোসা ভেঙ্গে বীজের অঙ্কুর উদগম হয়। বীজ থেকে বের হওয়া চারাগাছের শিকড় মাটিকে ভেঙ্গে ফেলে নিচে চলে যায়।
যে সব প্রাণী ডিম পাড়ে, তাদের ক্ষেত্রে যথাসময়ে ডিমের শক্ত খোলস ভেঙ্গে বাচ্চা বেরিয়ে আসে।
অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রে পুং শুক্রকীট স্ত্রী ডিম্বাশয়ে জোর করে প্রবেশের ফলে স্ত্রীর জরায়ুতে ভ্রূণের সৃষ্টি করে।
কোন উদ্দেশ্য ব্যতীত এই ভাঙ্গন এলোমেলোভাবে ঘটেনা। আল্লাহ্ তা'আলার নির্ধারিত বিধান ও তাঁর জারীকৃত হুকুমের মধ্যে এ সকল শক্তি কাজ কর।
ফালাক্ব এর শাব্দিক অর্থ বিদীর্ণ হওয়া। এখানে উদ্দেশ্য নিশি শেষে ভোর হওয়া। রাত্রির অন্ধকার প্রায়ই অনিষ্ট ও বিপদাপদের কারণ হয়ে থাকে এবং ভোরের আলো সেই বিপদাপদের আশংকা দূর করে দেয়।
এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, তাঁর কাছে আশ্রয় চাইবে, তিনি (প্রভাতের পালনকর্তা) তার সকল মুসীবত দূর করে দেবেন।- ( তাফসীরে মাযহারী)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন