পৃথিবীর সর্বোত্তম স্হান হচ্ছে তার মসজিদ সমূহ। পবিত্র কুরআনে মসজিদের গুরুত্ব ও উচ্চ মর্যাদা সম্পর্কে অনেকগুলো আয়াত রয়েছে। যেমন আল্লাহ্ তা'আলা বলেন - মসজিদ সমূহ তো আল্লাহরই, কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে আর কাউকে ডেকো না। -(সূরা আল-জিন-১৮)।
মহানবী (সাঃ) মসজিদ নির্মাণের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করে বলেন- যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ বানাবে আল্লাহ তার জন্য অনুরূপ ঘর জান্নাতে বানাবেন। -(সহীহ আল-বুখারী)।
ইসলামের আদর্শ মসজিদ হচ্ছে " মসজিদে নববী" যা মহানবী (সাঃ) নিজে জমি কিনে শুরু থেকে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সারা পৃথিবীতে আজ যে লক্ষ লক্ষ মসজিদ প্রতিষ্ঠিত রয়েছে, এগুলো হচ্ছে ইসলামের প্রতীক।
আমাদের জাতীয় পরিচয় হচ্ছে আমাদের মসজিদ কেন্দ্রিক সমাজ। প্রতিটি মানুষ সর্ব শক্তিমান আল্লাহ তা'আলার জন্য সিজদা করে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে মসজিদ থেকে বের হয়। এ মসজিদ যেন উদ্যম শীলতার শক্তিশালী কেন্দ্র। প্রতিজন মুসল্লি পৃথিবীর কোনো শক্তিকে ভয় পায় না। সে আল্লাহর গোলাম।
মসজিদই হলো মুসলমানদের ইহলৌকিক ও পরলৌকিক কল্যাণকর সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র স্থল। পুরো বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ মসজিদ। সারা বিশ্বে যেখানই মুসলিম আছে সেখানেই মসজিদ আছে।
মসজিদকে আবাদ রাখার জন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কেমন হওয়া উচিত, পবিত্র কুরআনে তা উল্লেখ আছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন- তারাইতো আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও আখিরাতে এবং সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করেনা। অতএব, আশা করা যায় তারা হবে সৎপথ প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। -(সূরা আত্-তাওবা-১৮)।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন